ঈদযাত্রা : শিমুলিয়ায় ৯টি ফেরি কমাতে পারছে না যাত্রীভোগান্তি
সরকারি কর্মজীবীদের শেষ কর্মদিবসে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ঈদযাত্রায় নামবে মানুষের ঢল। বাড়বে সব ধরনের যানবাহনের চাপ। এর আগেই মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে আজ সকালেই নদী পারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে সারি সারি যানবাহন। অথচ এ ঘাটে চলছে মাত্র নয়টি ফেরি, যা যাত্রীভোগান্তি কমাতে পারছে না বলে দাবি এ রুটের গণমানুষের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে বড় রো রো ফেরি নেই। ফলে অল্প কিছু যানবাহন নিয়ে পার হচ্ছে মাঝারি ও ছোট ফেরিগুলো। ফলে রাতে ঘাটে এসে দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনগুলোর নদীপারের জন্য বাড়ছে দীর্ঘ প্রতীক্ষা। ভোগান্তিতে পড়ছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা।
আজ ঢাকা থেকে আসা প্রায় ৩০০ যানবাহন শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের এ সারি দীর্ঘ হবে বলে মনে করছেন বাসচালক ও সহকারীরা। তাঁরা বলছেন—আজ সরকারি শেষ কর্মদিবস হওয়ায় সব সড়কেই যানজট তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফেরি ঘাটেও চাপ পড়বে। এ ছাড়া শিমুলিয়া ফেরিঘাটের অল্পসংখ্যক ছোট ও মাঝারি ফেরি এ চাপ সামলাতে অন্য যেকোনো দিনের তুলনা বেশি বেগ পাবে।
এদিকে, ফেরি সংকট ও সময়মতো ফেরি না ছাড়ায় আজও ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে ও স্পিডবোটে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
সকালে একটি ফেরি ছিল লোকে লোকারণ্য। মোটরসাইকেল আরোহীদের চাপও ছিল ওই ফেরিতে।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, বর্তমানে নয়টি ফেরি পারাপারে কাজ করছে। বাংলাবাজার নৌরুটে পাঁচটি ও মাঝিরকান্দা নৌরুটে তিনটি ফেরি চলাচল করছে। ঈদকে কাছাকাছি হওয়ার পাশাপাশি যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। ফলে যান পারাপার সঠিক সময়ে করা হলেও ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, লঞ্চ ও স্পিড বোটের যাত্রী পারাপারের সংখ্যা বেড়েছে। গত সপ্তাহে স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারকেন্দ্রিক যে যাত্রীরা রয়েছেন, তাঁরা আগেভাগেই মাওয়া পাড়ি দিচ্ছেন। ফেরির জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে মানুষ লঞ্চ স্পিডবোটে যাতায়াত করছে। ভোর থেকে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে।’