ঈদে যেসব বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

Looks like you've blocked notifications!
আবহাওয়া কার্যালয়। এনটিভির ফাইল ছবি

আগামী চার দিন দেশের কয়েকটি বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। ইতোমধ্যে দেশের তিন বিভাগে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে কালবৈশাখীও বইতে শুরু করেছে। আজ শুক্রবার (২০ এপ্রিল) ঢাকায় হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আগামী রোববার পর্যন্ত দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস বইতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূবার্ভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ বঙ্গেপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই পূর্বাভাস বলছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যাত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ ছাড়া দক্ষিণপূর্বাঞ্চল ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ ছাড়া ২৩ এপ্রিলের পর খুলনা বিভাগে তাপমাত্রা কমতে পারে।

আগামী তিনদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতির উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, এই তিন দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কমতে পারে। হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত। এছাড়া এই সময়ে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে গত কয়েকদিন ধরে সারা দেশে মানুষের জীবন ছিল বিপর্যস্ত। এখন কিছুটা তাপপ্রবাহ কমতে থাকায় জনজীবনে স্বস্তি এসেছে। দুই-এক দিনের মধ্যে উত্তরপশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে পারে। চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকায় তাপমাত্রা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

আবহাওয়া বার্তায় আরও জানানো হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ২১ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে।