উত্তপ্ত বসুরহাট, দুই দফা সংঘর্ষ-গুলি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ইটপাটকেল হামলায় আহত হয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হকসহ অন্তত পাঁচ পুলিশ সদস্য।
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলার প্রতিবাদে বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভা চলছিল। এ সময় দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক ও চার পুলিশ সদস্যসহ আহত হন সাতজন। রাতে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ। এ সময় গোলাগুলি হয়। এতে আহত হন অর্ধশতাধিক।
এদিকে, গতকাল কোম্পানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ভাঙচুর ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নির্দেশে দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি জানান, গতকালের ঘটনার কথা উল্লেখ করে একটি মামলার আর্জি থানা বরাবর আবেদন করেছে। মামলার বিষয়টি বিবেচনা করে তদন্ত পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।