উৎকণ্ঠা কাটিয়ে জমে উঠেছে নিউ মার্কেট
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/04/22/market.jpg)
সব আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা কাটিয়ে ঈদকে সামনে রেখে চেনা রূপে ফিরেছে নিউ মার্কেট। জমে উঠেছে ক্রেতাদের পদচারণা। পুরোদমে চলছে কেনাকাটা। এতে যেমন খুশি ক্রেতা, তেমনি বিক্রেতাও।
বিক্রেতাদের আশা, আজ শুক্রবার বিকেল থেকে নিউ মার্কেটসহ আশপাশের মার্কেটগুলোয় ক্রেতাদের ভিড় আরও বাড়বে, বিক্রিও ভালো হবে। আর আগামী কয়েক দিন এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থী-দোকানিদের সংঘর্ষের সময় হওয়া ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
হামিদুর রহমান নামের এক বিক্রেতা বলেন, ‘আজ শুক্রবার ছুটির দিনে নিউ মার্কেট জমে উঠেছে। আশা করছি, এখন থেকে প্রতিদিন বিক্রি বাড়বে। যখন ছাত্র আর আমাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, তখন দোকান কবে খুলতে পারব, এ নিয়ে ভয়ে ছিলাম। এখন ভয় কেটে গেছে।’
ফরিদ আলী নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকেই যেন ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। প্রচুর লোক আসতে শুরু করেছে। নামাজের পর বিকেল থেকে হয়তো আরও ক্রেতা বাড়বে। এভাবে চলতে থাকলে গত কয়েকদিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব।’
নিউ মার্কেটে মায়ের সঙ্গে কেনাকাটা করতে এসেছে ছোট্ট রনি। রনি বলল, ‘আমি জামা-কাপড়, প্যান্ট আর জুতা কিনেছি। ভালো লাগছে।’
আরেক শিশু নাফিজ জানাল, সে অনেক কিছু কিনেছে। আরও কিনবে। প্রতি ঈদের সময় তার পুরো সেট নতুন জামা তো লাগেই। বরং, সব পোশাক দ্বিগুণ করে কিনে দিতে হয়। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নাফিজের মা বললেন, ‘ছেলে আমার যা চায়, তাই দিতে হয়। অবশ্যই খারাপ কিছু চায় না। আমারও ভালো লাগে। এবার নাকি তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুরোপুরি সব জিনিস ডাবল ডাবল কিনে দিতে হবে।’
মিজানুর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘প্রতিবছর নিউ মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসি, এবারও এসেছি। বৌ রয়েছে, বাচ্চা-কাচ্চা রয়েছে। এখন সবার জন্য কিনতে গিয়ে নিজের জন্য কেনার কথা মনে হয় না। আসলে ইচ্ছেও করে না। তবে, নিউ মার্কেটে নতুন কেউ কেনাকাটা করতে এলে ঠকে যায়। এরা এত বেশি দাম বলে, এর পরিবর্তে অনেক কম দাম বলতেও কেমন যেন লাগে। আবার অন্তত তিনগুণ কম না বললে আপনি ঠকে যাবেন। এ দরদাম নিয়ে একটু আগে সেকি বাকবিতণ্ডা এক ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে!’