ওবায়দুল কাদেরের বোনের বাড়িতে হামলার অভিযোগ, দুই বোনের বিক্ষোভ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/06/24/oka-sidter.jpg)
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার ছোট বোন রোকেয়া বেগমের বাসায় হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বসুরহাট থানার পোল সংলগ্ন বাসভবনে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন রোকেয়া বেগম ও তাঁর বড় বোন তাহেরা বেগম। এ সময় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শত শত নেতাকর্মী থানার ফটকের সামনে দিয়ে স্থানীয় বাজার প্রদক্ষিণ করেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আরেক ছোট বোন তাহেরা বেগমের বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোর্ট বিল্ডিং সংলগ্ন বাসায় ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। পরে সকালে পুলিশ অবিস্ফোরিত ছয়টি তাজা ককটেল উদ্ধারের পর বালতির পানিতে ডুবিয়ে নিষ্ক্রিয় করে। ওই ঘটনার পর থেকে সেতুমন্ত্রীর বোন তাহেরা বেগমের বাসার গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
রোকেয়া বেগম তাঁর বড় ভাই কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাতের মা। এ ছাড়া তাহেরা বেগম কাদের মির্জার বড় বোন এবং কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জুর মা।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে বসুরহাট থানার সামনের সড়কে তাহেরা বেগম ও রোকেয়া বেগম উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুসারী নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিক্ষোভ-মিছিলে তাঁরা কাদের মির্জার অনুসারীদের নেতৃত্বে রোকেয়া বেগমের বাসায় হামলার অভিযোগ করেন এবং কাদের মির্জার শাস্তির দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
রোকেয়া বেগম অভিযোগ করেন, ‘কাদের মির্জার গুন্ডা বাহিনী এই হামলা করেছে। কোম্পানীগঞ্জে আর কে আছে? সে (কাদের মির্জা) তো এখন গডফাদার। পুলিশ তাঁকে প্রোটেকশন দিচ্ছে। সে বিশাল ক্ষমতাধর। মির্জার গুন্ডা বাহিনী বাসায় হামলা করে আমার ছেলেকে খুঁজতে থাকে।’
রোকেয়া বেগম আরও বলেন, “সন্ত্রাসী হামলা চলাকালে মন্ত্রীকে (ওবায়দুল কাদের) ফোন দেওয়ার কথা বললে, তাঁরা ‘মন্ত্রী কী করবে’ বলে হুমকিও দেয়। তখন তারা আমার ছেলেকে জোর করে বের করার অনেক চেষ্টা করে এবং একপর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে বাসায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপের মধ্যদিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।”
ওবায়দুল কাদের ও কাদের মির্জার ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত অভিযোগ করেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জেরে কাদের মির্জার অনুসারী কেচ্ছা রাসেলের নেতৃত্বে আমার বাসায় হামলা করা হয়েছে। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।’
এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জাকে ফোন দিয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ‘কয়েকজন লোক এসে বাসার গেটে লাথি মেরে গালমন্দ করেছে, এ ধরনের একটা সংবাদ আমরা পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’