ছায়ানটে হামলা ফৌজদারি অপরাধই নয়, জুলাই চেতনারও পরিপন্থী : সংস্কৃতি উপদেষ্টা
ছায়ানট ভবনে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ছায়ানটে হামলা ফৌজদারি অপরাধই নয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনারও পরিপন্থী।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে তিনি ধানমণ্ডির ছায়ানট ভবন পরিদর্শন করেন ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া জায়গাগুলো দেখেন। এসময় ছায়ানটের সংগঠক পার্থ তানভীর নভেদসহ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেন।
পরিদর্শন শেষে সংস্কৃতি উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে। এই ভবনে হামলা চালানো হয়েছে, অনেক ক্ষয়ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমি ছায়ানট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে যাবতীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে প্রতিষ্ঠানটি যেন দ্রুত চালু করা যায় এ ব্যাপারে আর্থিক সহায়তাসহ সরকার সব ধরনের সহায়তা দেবে। ছায়ানট পরিচালনা কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এ বিষয়ে আমাদেরকে জানাবেন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন,‘এই ভবনের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিচ্ছি। ছায়ানটের বাইরে বিজিবি ও পুলিশ কঠোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। আমি উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্যদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা অবশ্যই নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র। আজ আমাদের কথা বলার কথা শহীদ ওসমান হাদিকে নিয়ে। আজ আমাদের শোকাতুর হওয়ার কথা। প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিয়েছে কারা? কারা প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটে হামলা করেছে? যারা করেছে তারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় না।’
সংস্কৃতি উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এই জাতীয় শোকের মুহূর্তে এক শ্রেণীর হঠকারী দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’-এ হামলা চালিয়ে ক্ষয়-ক্ষতি সাধন করেছে। মৃত্যুঞ্জয়ী হাদির মৃত্যুতে কোনো সাংস্কৃতিক সংগঠনে হামলা কেবল একটি ফৌজদারি অপরাধই নয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনারও পরিপন্থী।’

নিজস্ব প্রতিবেদক