কক্সবাজারে হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের সি অ্যাকুরিয়াম
কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের একটি সি-অ্যাকুরিয়াম স্থাপন প্রকল্পের কাজ সরকারের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান।
কক্সবাজারে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ‘বার্ষিক গবেষণা প্রতিবেদন’ উপস্থাপন নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
জিয়াউল হাসান বলেন, ‘২০৪১ সালে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গেলে জিডিপি ১০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এখন আট শতাংশ আছে, বাকি দুই শতাংশ পূরণের জন্য সমুদ্র ছাড়া অন্য কোনো খাত নেই। তাই দুই শতাংশ জিডিপির উৎস হতে পারে সুনীল অর্থনীতি এবং এর ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিকমানের এই সি অ্যাকুরিয়াম করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।’
সেমিনারে তিনি বলেন, ‘সমুদ্রসীমায় থাকা অমিত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে সুনীল অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে হবে। বিশেষ করে সমুদ্র থেকে খনিজ সম্পদ ও মৎস্য সম্পদ আহরণে আধুনিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সমুদ্রকেন্দ্রিক ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে জিয়াউল হাসান বলেন, ‘ডিঙ্গি নৌকায় আর সমুদ্র গবেষণা নয়, গবেষণার জন্য একটি অত্যাধুনিক জাহাজ কেনা হচ্ছে। একই সঙ্গে গভীর সমুদ্রের তলদেশে বিশদ গবেষণার জন্যও আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ চলছে।’
বাংলাদেশ সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন পরিকল্পনা কমিশনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাউসার আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাশেদ উন নবী প্রমুখ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমুদ্রবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার। সেমিনারে সমুদ্রবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে কর্মরত বিজ্ঞানীরা তাদের বার্ষিক গবেষণা রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।