কক্সবাজারে হোটেলে স্কুলছাত্রীকে আটকে ‘ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার তিন
কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে আবাসিক হোটেলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৩ ডিসেম্বর এ ঘটনাটি ঘটে। আটকে রেখে ধর্ষণের এ ঘটনায় মূলহোতা আশিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
ঘটনাটি ১৩ ডিসেম্বর ঘটলেও স্কুলছাত্রীর বাবা গত ১৮ ডিসেম্বর বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার পর গতকাল সোমবার রাত ও আজ মঙ্গলবার সকালে পৃথক অভিযানে পুলিশ ও র্যাব তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মামলার প্রধান আসামি আশিক, ৪ নম্বর আসামি কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকার মো. কামরুল ও মমস্ গেস্ট হাউসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহীন।
মামলার পর যখন কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছিল না, তখন বাদীর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর-উল গীয়াস। তিনি জানান, কক্সবাজার শহরে স্কুলশিক্ষার্থীকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে, র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, হোটেলে স্কুলশিক্ষার্থীকে জিম্মি করে ধর্ষণের মূলহোতা আশিককে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়িতে ফেরার সময় মো. আশিকসহ তিন থেকে চারজন যুবক জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে (ভুক্তভোগী ছাত্রী) শহরের হোটেল-মোটেল জোনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত মমস্ গেস্ট হাউসে নিয়ে যায়। পরে ওই স্কুলছাত্রীকে হোটেলটিতে জিম্মি রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।