কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে অবৈধ স্থাপনা, জবাব দিতে হাইকোর্টে জেলা প্রশাসক
সমুদ্রসৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা না মানার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনর রশিদ। আজ বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে তিনি হাজির হন।
এর আগে ২৫ আগস্ট আদালত অবমানার অভিযোগে এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে তাঁকে তলব করেন।
যে ৫ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়েছে তাঁরা হলেন- কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ, উপপরিচালক, টাউন প্লানার তানভির হাসান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান এবং কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবর রহমান।
ওই দিন আইনজীবী বলেছিলেন, কক্সবাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আদালতের নির্দেশনার পর সেটা উচ্ছেদও করা হয়েছিল। কিন্তু ইদানিং প্রায় একশ’র মতো দোকান স্থাপন করা হয়েছে। এ ঘটনায় চার মাস আগে আমরা আদালত অবমাননার অভিযোগ করেছিলাম। এরপর দীর্ঘ শুনানির পর বার বার সময় নেওয়ার পরও জেলা প্রশাসক ওই সব স্থাপনা উচ্ছেদ করেননি। যে কারণে আজকে তাঁকেসহ সবার ওপর আদালত অবমনানর অভিযোগে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে ১৯ অক্টোবর স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, কক্সবাজার সৈকত এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন রাখতে সেখান থেকে সব অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ করার আবেদন জানানো হলো। জনস্বার্থে এইচআরপিবি আদালতে রিট করলে রায় আসে।
এতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নির্দেশনা দেন। জনস্বার্থ বিবেচনা করে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৭ জুন বিবাদীদের কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। কিন্তু এখনও তা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়নি।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, কয়েকদিন পূর্বে এইচআরপিবির প্রতিনিধি সমুদ্রসৈকত এলাকায় পর্যবেক্ষণে গেলে সৈকত এলাকায় অনেক অবৈধ দখল ও স্থাপনা দেখতে পান। যদিও এর আগে রায় হওয়ার পরে আদালতের নির্দেশে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। বর্তমানে ওই দখল ও স্থাপনা ভাড়া দিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা আয় করছে। কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, যা আদালত অবমাননার শামিল।