কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নেই অলি
বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের হত্যা, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শনিবার দুপুরে সমাবেশ করে দলটি। পরে প্রেসক্লাব থেকে কাকরাইল পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন দলের নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এলডিপি নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ আমরা এক দফা দাবি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমাদের আর কোনো দাবি নাই। দাবি একটাই এই সরকারের পদত্যাগ চাই। আমরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিতে চাই, এই ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ববাদী সরকারকে আমরা সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এই অবৈধ সরকার প্রায় ৬ শতাধিক বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে গুম করেছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ৩৫ লাখ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গৃহবন্দি করে রেখেছে। সমগ্র দেশটাকে কারাগারে রূপান্তরিত করেছে। এই সরকারের পতন না হলে এর থেকে মুক্তি মিলবে না। মুক্তির রাস্তা একটাই এই সরকারের পদত্যাগ।
সমাবেশে বক্তব্য দেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নূরুল আলম, অ্যাডভোকেট এসএম মোরশেদ, ডক্টর আওরঙ্গজেব বেলাল, ডক্টর নেয়ামূল বশির, ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা মোছা. কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলু, এলডিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক ও আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নুরে আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাসেমসহ এলডিপির কেন্দ্রীয়, মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেই অলি
রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে উপস্থিত হননি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজকের বিক্ষোভ সমাবেশে কর্নেল অলি থাকবেন বলে নিশ্চিত করা হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মীদের ব্যক্তিগত মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারেও অলি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু বিক্ষোভ সমাবেশের আগে ও পরে এলডিপি প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদকে দেখা যায়নি।