কারখানার গেটে তালা মেরে ভেতরে কাজ, জরিমানা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে খোলা রাখায় গাজীপুরে কারখানাসহ কয়েকটি ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও মাস্কবিহীন ঘোরাঘুরি করায় কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে, একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করে দেয় অপর ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে জেলার কয়েকটি স্থানে কারখানা ও দোকানপাট খোলা রাখা হয়েছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে আজ শনিবার দুপুরে মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন সারাবো এলাকার নরবান কমটেক্স লিমিটেড নামের পোশাক কারখানায় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাহিরে তালাবদ্ধ করে কারখানাটির ভেতরে ডায়িংসহ কয়েকটি সেকশন চালু রেখে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছিল। মাস্ক না পরেই শ্রমিকরা কাজ করছিল। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কারখানা চালু রাখার অপরাধে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনে কারখানাটির মালিককে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় আদালত কারখানাটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
এদিকে, টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি বাজার এলাকার এ ওয়ান পলিমার লিমিটেড নামের অপর একটি কারখানা চালু রেখে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন করছিল। গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না রহমান জ্যোতির নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ দুপুরে সেখানে অভিযান চালিয়ে ওই কারখানাকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। মাস্কবিহীন ঘোরাঘুরি করায় এবং মন্ত্রিপরিষদের জারিকৃত পরিপত্র অনুসরণ না করায় কিছু দোকান ও হোটেলকে জরিমানা করা হয়।
পৃথক অভিযানকালে এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড ও ৮৬টি মামলা করা হয়েছে।
এছাড়াও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কালিয়াকৈরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করায় তা ভণ্ডুল করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।