কারাগারে চিকিৎসক সংকট, অনুপস্থিত চিকিৎসকের তথ্য চান হাইকোর্ট
সারা দেশের ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক আছেন মাত্র ১০ জন! গত বছর ২০ জনকে প্রেষণে নিয়োগ দিলেও যোগ দিয়েছেন মাত্র চারজন।
নিয়োগ পাওয়ার পর যোগদান না করা চিকিৎসকদের বৃত্তান্ত চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তারা কেন যোগদান করেননি তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী ১১ নভেম্বর তা রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে।
কারা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে দাখিল করা এক প্রতিবেদনের পর আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ২০ জন চিকিৎসককে কারাগারে পদায়ন করা হয়। এর মধ্যে মাত্র চারজন কাজে যোগ দেন। ১৬ জন এখনো যোগ দেননি।
কেন ওই ১৬ জন কাজে যোগ দেননি তা ১১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রিটকারী আইনজীবী হলেন মো. জে আর খাঁন রবিন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মো. জে আর খাঁন রবিন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শাম্মী আকতার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
মো. জে আর খাঁন রবিন জানান, গত ২৩ জুন এক আদেশে সারা দেশের সব কারাগারে বন্দি ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্য পদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন আদালত। ওই আদেশ অনুসারে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশার পক্ষে ডেপুটি জেলার মুমিনুল ইসলাম একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কারা চিকিৎসকের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৪১টি। এর বিপরীতে কর্মরত আছেন ১০ জন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে প্রেষণে বদলির মাধ্যমে কারা চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার বিধান রয়েছে। তাই সরাসরি বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সুযোগ নেই।
এদিকে কারাগারে ৪০ হাজার ৬৬৪ জন ধারণক্ষমতার বিপরীতে বন্দি আছেন ৮৬ হাজার ৯৯৮ জন (২৭ আগস্ট পর্যন্ত)।

নিজস্ব প্রতিবেদক