কারেন্টজালের সঙ্গে দগ্ধ ৩ জেলে, এসিল্যান্ড মৎস্য কর্মকর্তা ঘেরাও
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/07/26/sherpue-curentjal-news-pic.jpg)
শেরপুর সদরের ভাতশালা ইউনিয়নের ইলশা এলাকায় কারেন্টজাল বিরোধী অভিযানে গিয়ে তিন জেলেকেসহ কারেন্টজালে আগুন দেওয়ার অভিযোগে সহকারী কমিশনার (ভূমি), মৎস্য কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের লোকজনকে ঘেরাও করে জনতা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত তিন জেলেকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ জেলেরা হলেন জবেদ আলী, ইয়াকুব ও দাউদ।
এ ঘটনার পর শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে স্থানীয়রা জানায়, দুপুর ৩টার দিকে ইলশা বাজারের কাছে মৃগি নদীতে কারেন্টজাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন কয়েকজন জেলে। এ সময় কারেন্ট জালবিরোধী অভিযানের সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে হাজির হন শেরপুর সদরের ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) উজ্জ্বল মোহাম্মদ হোসাইন। তার সঙ্গে ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। তারা সেখানে গিয়ে জাল পোড়ানোর নির্দেশ দিলে, জেলেরা জাল না পোড়ানোর অনুরোধ করেন। এ সময় জালে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে জালের সঙ্গে তিন জেলেও অগ্নিদগ্ধ হন।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা চরম বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতে আসা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশদের ঘেরাও করে ফেলে।
খবর পেয়ে কর্মকর্তাদের উদ্ধার করতে শেরপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নান ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় স্থানীয় জনতা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার মুহূর্তে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ভাতশালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার, লছমনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. হাই ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, কারেন্ট জালবিরোধী অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই। অবৈধ কারেন্টজাল পোড়ানোতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু মানুষ পোড়ানোর অধিকার কাউকে দেওয়া হয় নাই। আমরা এই ঘটনার জন্য দায়ীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনব।