কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল হত্যায় মামলা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল (৫২) ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহাকে (৬০) গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রুমেন মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১টায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও সাত/আট জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে হত্যাস্থলের আধা কিলোমিটার দূর থেকে অস্ত্র, গুলি, হাতবোমাসহ নানা বস্তু জব্দ করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরাইশ এলাকা থেকে এসব জব্দ করা হয়।
এর পর গতকাল সন্ধ্যায় সংরাইশ থেকে উদ্ধার করা দেশীয় ৪৮টি হাতবোমা গতকাল রাতে গোমতী নদীর তীরে নিষ্ক্রিয় করে ঢাকা থেকে আসা কাউন্টার টেররিজমের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী একটি দল।
এদিকে, আরও আগ্নেয়াস্ত্র থাকতে পারে এমন আশঙ্কায় পুলিশ ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল অফিস এবং এর আশপাশের এলাকায় তল্লাশি তৎপরতা জোরদার করেছে। মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
গত সোমবার বিকেলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় অফিসে ঢুকে কাউন্সিলর মো. সোহেল এবং তাঁর সহযোগীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও চার জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মো. সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন। তাঁর বাড়ি নগরের সুজানগর এলাকায়। ২০১২ ও ২০১৭ সালে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।