কুষ্টিয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, তীব্র নদীভাঙন
পদ্মা ও এর প্রধান শাখা নদী গড়াইয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে কুষ্টিয়ায় এই দুই নদীসংলগ্ন নতুন নতুন এলাকার বসতবাড়ি ও আবাদি জমি প্লাবিত হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলার হরিপুর, তালবাড়িয়া, কুমারখালী ও খোকসা এলাকায় তীব্র নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধির ফলে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নে ৩৭টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ। সুষম খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে মানবেতর জীবন-যাপন করছে তারা। এ ছাড়াও সংকট রয়েছে গো-খাদ্যের।
বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে এ অঞ্চলের আমন ধান, পাটক্ষেত ও মরিচখেতসহ বিভিন্ন ধরনের কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা ও ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী উদ্যোগ চান ভুক্তভোগীরা। আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে, কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর ওপর নির্মিত শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু প্রতিরক্ষা বাঁধ এলাকায় ভাঙন অব্যাহত থাকায় চরম হুমকির মুখে পড়েছে সেতুটি। পানির তীব্র স্রোতে প্রতিদিনই এখানকার বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। সেতুর আশপাশের এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতেই পানি ঢুকে পড়েছে। আতঙ্কে অনেকেই তাদের বসতবাড়ি অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ জানান, পদ্মা ও গড়াই নদীতে পানি এখন বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই। বর্তমানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ১৪ দশমিক ২০ মিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচে।
প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, গড়াই নদীর ওপর নির্মিত শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু রক্ষাসহ বন্যকবলিত এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ভাঙন প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি।