কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে গণধোলাই
শহরের পিটিআই রোডের একটি বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জকে ধরে নিয়ে এসে গণপিটুনি দিয়েছে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গণপিটুনি দেওয়ার সময় চ্যালেঞ্জের জামা ছিড়ে ফেলা হয় এবং পুলিশের সামনেই তাকে জুতাপেটা করা হয়।
হামলাকারীদের দাবি অনৈতিক কাজে ধরা পড়ায় তাকে মারধর করে এলাকাবাসী। তবে হামলায় সময় জেলা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা ও ছাত্রলীগের কর্মীদের সেখানে দেখা যায়।
ভুক্তভুগী চ্যালেঞ্জ দাবি করেন, পদ না পেয়ে দলের একটি অংশ তাঁকে হত্যা করার উদ্দেশে এই হামলা চালিয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, যারা ছাত্রলীগের অসময়ে কাজ করেছেন তাদের পরিবর্তে অন্যদের স্বার্থের বিনিময়ে পদ দিতে বাধা দেওয়ায় আমি তাদের রোষানলে পড়ি। আমি কুষ্টিয়ায় আসার পর থেকেই আমাকে হত্যার জন্য রেকি করতে থাকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। আজ আমি খালার বাসায় বেড়াতে এলে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশে সেখানে আমার ওপর আতর্কিত হামলা করে। আমি ছাত্রলীগ নামধারী ওইসব হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।
বিকেলে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চ্যালেঞ্জ। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি জানান, হামলাকারীদের আইনের আওতায় নেওয়া না হলে আত্মহত্যা করবেন তিনি।
তবে জেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, চ্যালেঞ্জ ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এমনকি ছাত্রলীগে পদ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে। আজ সে একটি বাড়িতে এক মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপ করার সময় তাকে এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দেয়।
এসময় চ্যালেঞ্জকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিও জানান তাঁরা।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে চ্যালেঞ্জকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না। হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে কুষ্টিয়া শহর ছাত্রলীগ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগসহ কয়েকটি কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।