কোম্পানীগঞ্জে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের মৃত্যু
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের জেরে গোলাগুলির ঘটনায় আহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মোজাক্কের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে মৃত্যু হয় তাঁর। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক রনি এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাটে গত শুক্রবার বিকেলে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মোট আটজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ২০ জন। এখন পর্যন্ত আরো দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
নিহত বুরহান দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের নোয়াখালী প্রতিনিধি ছিলেন।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে চাপরাশিরহাট বাজারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের একটি প্রতিবাদ সমাবেশ চলছিল। সমাবেশে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার সাম্প্রতিক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করা হয়। এ সময় পৌর মেয়র কাদের মির্জার সমর্থক চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটনের লোকজন গিয়ে সেখানে উপস্থিত হলে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় এবং একপর্যায়ে তারা ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে একপক্ষ গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে পৌর মেয়র কাদের মির্জা ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে পাশের চরকাঁকড়া নতুন বাজার নামক স্থানে তাঁকে কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
এদিকে ওই সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় উভয় পক্ষের আটজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে গুলি ছুড়েও সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। ফলে ঘটনাস্থল রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এরই মধ্যে আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে সাংবাদিক বুরহানসহ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে গতকাল শনিবার রাতে মৃত্যু হয় বুরহানের।