খালেদা জিয়ার নির্বাচনের বিষয়ে আগাম কিছু বললেন না সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে দাঁড়ালে তখন আইনানুগভাবে খতিয়ে দেখা হবে, আগাম কিছু বলার নেই। এই বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর এখন দেবো না।’
আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভোটে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আইনমন্ত্রী ও তাঁর আইনজীবীদের বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা সিইসির কাছে এ নিয়ে প্রশ্ন রাখেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় বেগম খালেদা জিয়ার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তাঁর সাজার রায় হয়। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তা শেষ পর্যন্ত টেকেনি।
সবশেষ গত ১০ অক্টোবর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আইন অনুসারে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।’
তবে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা গণমাধ্যমে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন বেগম জিয়া। একই সঙ্গে রাজনৈতিক মামলার ফয়সালা রাজপথেই হবে।’
খালেদা জিয়ার আইনজীবী এমন দাবির মধ্যে তাঁর নির্বাচনের কোনো সুযোগ আছে কি না? বুধবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এটা যখন হবে দেখা যাবে। সব কিছু আইন অনুযায়ী হবে। এখন অ্যাডভান্স কোনো কথা বলতে পারব না।’
সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার ভোটে অংশগ্রহণ নিয়ে আইনজীবীদের দাবির বিষয়টিও জানেন না উল্লেখ করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। যিনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন, আপনি দাঁড়ান, আর যেই দাঁড়ান, আমরা তাঁর বিষয়টি আইনানুগভাবে পরীক্ষা করে দেখব। আমাদের আইনের কিছু কাঠামো আছে। কেউ ভোট করতে চাইলে ওই কাঠামোর মধ্যে করতে হবে। আগাম কিছু বলাও ঠিক হবে না।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘তিনি আদৌ নির্বাচনে দাঁড়ালে আমরা সেটা আইনানুগভাবে পরীক্ষা করে দেখব। এখানে আইনগত দিক অগ্রিম কিছু বলার নেই। সময় আসুক সব খতিয়ে দেখব। তখন সব জানাব। এখন এত আগে কোনো কথা বলা ঠিক নয়।’