উত্তরায় গার্ডার চাপায় মৃত্যু

গার্ডারচাপায় নিহত নুর ইসলামের উত্তরাধিকারদের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এনটিভির ফাইল ছবি

রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের গার্ডারচাপায় প্রাইভেটকারে থাকা একই পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহতের ঘটনায় নুর ইসলামের চার স্ত্রী ও তিন সন্তান ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিম নিহতের পরিবারের ওয়ারিশদের এই টাকা বণ্টন করে দেন।

বিচারক প্রত্যেক স্ত্রীকে ৬২ হাজার ৫০০ টাকা, প্রত্যেক মেয়েকে চার লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং ছেলেকে আট লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে পৃথকভাবে ৩০০ টাকায় ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে জিম্মানামা দাখিল পূর্বক জিম্মা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

গার্ডার চাপায় মৃত্যুর ঘটনায় ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (সিজিজিসি)। এই ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ার জন্য নুর ইসলামের স্ত্রী খন্দকার বিউটি বেগম, মাহমুদা পারভীন, রেহেনা, শাহিদা খানম ও দুই মেয়ে নিপা আক্তার, সানজিদা খানম রতনা এবং ছেলে রেজাউল মন্ডল আবেদন করেন। পরে আদালত আজ সেই টাকা বণ্টন করে দেন।

নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট বিকেল সোয়া ৪টায় উত্তরায় প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রী নিহত হন। ওই গাড়িতে থাকা নবদম্পতি গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান।

নিহতরা হলেন—আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল ওরফে নূর ইসলাম (৫৫), ফাহিমা আক্তার (৩৮), ঝর্না আক্তার (২৭), ঝর্না আক্তারের দুই শিশুসন্তান জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (৪)। ওই ঘটনার রাতেই নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝর্না আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।