গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ৬ জুন
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/05/21/khaleda-zia.jpg)
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৬ জুন নতুন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। অব্যহতির জন্য তিন অভিযুক্তের পক্ষ থেকে সময় চেয়ে আবেদন জমা দেওয়া হয়।
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসেনের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আজ রোববার (২১ মে) দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠন শুনানি পেছাতে সময় আবেদন করেন। পরে পরবর্তী শুনানির জন্য ৬ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।
এ দিন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মিজবাহ আদালতে হাজিরা দেন।
আসামিরা হলেন—বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং গ্যাটকোর সাবেক পরিচালক এ কে এম মুসা কাজল ও এহসান ইউসুফ।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি মুলতবি চেয়ে আজ একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়া বর্তমানে অসুস্থ এবং সরকারের একটি নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তার গুলশানের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আজ খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে আদালতে তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মাসুদ। বর্তমানে জামিনে থাকা খন্দকার মোশাররফসহ আরও ১১ আসামি আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা করেন। পরে ২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা।
মামলার ২৪ আসামির মধ্যে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান, বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী মারা গেছেন। ফলে তাঁদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এখন আসামির সংখ্যা ২০ জন। গত ১৭ অক্টোবর সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন মারা গেছেন। মৃত্যুর প্রতিবেদন এলে আইন অনুযায়ী তাঁকেও এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোর সঙ্গে চুক্তি সইয়ের ফলে সরকারের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। এ ছাড়া গ্যাটকোকে ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে অবৈধভাবে আরাফাত রহমান কোকো ও ইসমাইল হোসেন সায়মন দুই কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩৬ টাকার আর্থিক সুবিধা নেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।