ঘরে বসে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা চায় জাকের পার্টি
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/07/27/isi-chbi_0.jpg)
ইভিএম নয়, ব্লক চেইন টেকনোলজি এবং ই-ভোটিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা চায় জাকের পার্টি। সেইসঙ্গে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সদস্য ও সমর্থকদের তথ্য প্রকাশও চায় দলটি।
আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে জাকের পার্টির পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব করা হয়। জাকের পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়।
কমিশন থেকে রাজনৈতিক দলের সদস্য ও সমর্থকদের প্রকাশে নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা তুলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ ধরনের প্রস্তাব কতটা যৌক্তিক, সে প্রশ্ন তোলা হয়। পাশাপাশি ব্লক চেইন টেকনোলজির বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়ে এ বিষয়ে একটি ডেমো দেখানোর আহ্বান জানানো হয়।
দলটির প্রস্তাবে ইভিএম পুরো নিশ্ছিদ্র বা নিরাপদ নয় উল্লেখ করে বলা হয়—এই টেকনোলজির সূক্ষ্ম পরিবর্তন ঘটিয়ে এক প্রতীকের ভোট অন্য প্রতীকে গণনার আশঙ্কা রয়েছে।
জাকের পার্টি এমন আশঙ্কা থেকে ইভিএম ব্যবহার না করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্লক চেইন টেকনোলজি ব্যবহারের প্রস্তাব করেছে। একইসঙ্গে দলটি ই-ভোটিং চালুর প্রস্তাব করেছে।
জাকের পার্টি তাদের প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলের সদস্য ও সমর্থকদের ডাটাবেজ তৈরির কথা উল্লেখ করে বলেছে, নির্বাচনে কমিশন নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক নিবন্ধিত দলগুলোকে নিজ নিজ দলের সদস্য ও সমর্থক ভোটারদের ছবি ও স্বাক্ষর সম্বলিত ডাটাবেজ তৈরির করতে বলবে। দলগুলো তাদের ডাটাবেজ তৈরি করে ইসিতে তা জমা দেবে। নির্বাচনের ছয় মাস আগে এই ডাটাবেজ অ্যাপের মাধ্যমে ইসি তা জনগণের কাছে প্রকাশ করবে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর ভোট ব্যাংক সম্পর্কে আগে থেকেই জানা যাবে।
অবশ্য কমিশনার মো. আলমগীর ও আনিসুর রহমান ডাটাবেজ প্রকাশের বিপক্ষে যুক্তি দেন। এ ধরনের বিষয়টি ভোটারদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা থাকার কথা জানান। এ ধরনের প্রস্তাবনা দেওয়ার আগে তারা মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য নিয়েছেন কি না সেই প্রশ্নও রাখেন।
এদিকে, ব্লক চেইন টেকনোলজিও ইসির কাছে স্পষ্ট নয় বলে জানান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি জাকের পার্টিকে এ বিষয়ে একটি ডেমো প্রদর্শনের অনুরোধ জানান।
অন্যদিকে, জাকের পার্টি তাদের প্রস্তাবে অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচনের ছয় মাস আগে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানিমূলক আচরণ বন্ধ; সরকারি প্রচার মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলের সমঅধিকার নিশ্চিতকরণের কথা বলেছে।