চট্টগ্রামে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা
দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাওলানা হেলাল উদ্দিনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জাহান আরা বেগম নামে এক নারী। চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কৌশিক খন্দকার মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে আগামী ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী ওই ইউনিয়নের তেলিবিলা এলাকার ছিদ্দিক আহমদের স্ত্রী।
গতকাল সোমবার মামলাটি করা হয়। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন— উপজেলার চরম্বা কালোয়ার পাড়া এলাকার মো. রাশেদ, ওয়াহিদ, মো. জাফর, জাহাঙ্গীর, ইব্রাহিম ও জিয়াবুল।
এজাহারে বলা হয়, গত ১৩ এপ্রিল চরম্বা খালেকের দোকানের সামনে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাদীর ছেলে মো. রিফাতের সঙ্গে মামলার আসামি ইব্রাহিমের বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধের জেরে চরম্বা ইউপি চেয়ারমান মাওলানা হেলাল উদ্দিন আমার ছেলেকে আট হাজার টাকা ক্ষতিপূরণে মীমাংসা করেন। এতে পাঁচ হাজার টাকা পরিশোধও করা হয়। পরবর্তীতে নির্বাচনি প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রতিশোধ নেওয়ার কূ-মানসে গত শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাত ১০টায় পরিকল্পিতভাবে বিবাদীরা বাদীর বসতঘরে দেশি অস্ত্র দা, কিরিচ, হকিস্টিক ও বন্দুক নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় তারা একটি মোটরসাইকেল, একটি স্বর্ণের আংটি, চেইন ও কানের দুল নিয়ে যায়।
এজাহারে ওই নারী বলেন, ‘তারা চলে যাওয়ার সময় আমার বসতঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্রে ভাঙচুর চালায়।’
এ বিষয়ে জাহানারা বেগম বলেন, ‘চরম্বা ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিনের নির্দেশে আমার বাড়িতে হামলা ও ডাকাতি হয়। যাওয়ার সময় তারা ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।’
ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি কোনো বিচার করি নাই। কারও কাছে ক্ষতিপূরণও আদায় করি নাই। আমি জনপ্রতিনিধি হয়ে কেন ডাকাতি করতে যাব।’