ছাত্রলীগের নেত্রীকে মারধর, দুই নেত্রীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বীকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও হল পর্যায়ের দুই জ্যেষ্ঠ নেত্রীসহ পাচঁজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম শান্ত ইসলাম মল্লিক এ পরোয়ানা জারি করেন। গতকাল সোমবার আদেশ হলেও আজ বিষয়টি জানাজানি হয়।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিকৃত আসামিরা হলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি, সহসভাপতি জিয়াসমিন শান্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. এনামুল হক ও ঢাবির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপসম্পাদক শেখ তানসেন।
গত বছর ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ ও বঙ্গবন্ধু টাওয়ার এলাকায় মারধরের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও হল ছাত্রসংসদের সাবেক এজিএস ফাল্গুনী দাস তন্বীর।
এরপর ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় অভিযোগ করেন ফাল্গুনী দাস তন্বী।
এরপর ২৪ জানুয়ারি মারধরের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী ফাল্গুনী দাস আদালতে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই ও বিচার বিভাগের সমন্বয়ে দ্বৈত তদন্ত কমিশন গঠন করে দিয়েছেন এবং ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই আদালতে অভিযোগের পর হল শাখা ছাত্রলীগের নেত্রী সাবেক এজিএস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। চিঠি পেয়ে তাকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রক্টর।
এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তদন্ত সংস্থা পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি জন্য আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বী এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইকে বলেন, ‘আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আমাকে মেরে ফেলার জন্য তারা হামলা করেছে। আমি চাইব তারা যেন দ্রুত গ্রেপ্তার হয়।’