জঙ্গি ছিনতাই : গ্রেপ্তার দুজন ফের রিমান্ডে

Looks like you've blocked notifications!
সিসিটিভিতে ধরা পড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য । ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টের সামনে থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার মামলায় ঈদী আমিনের ছয় দিন ও মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ঈদী আমিনকে ১১ দিন ও মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফিকে আটদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

শুনানি শেষে বিচারক আসামি ঈদী আমিনের ছয় দিন ও মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২৭ নভেম্বর ঈদী আমিন আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে, ২৪ নভেম্বর মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এ সময় আসামি আরাফাত এবং সবুরকেও ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে তারা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় আরও সাত-আটজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।