জনরোষ থেকে বাঁচতে ক্ষমতাসীনরা হিংস্র হয়ে উঠেছে : রিজভী
বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি, নজিরবিহীন লোডশেডিং, জ্বালানি সংকট, সীমাহীন লুটপাট ও অর্থপাচারের প্রতিবাদে সারা দেশ এখন প্রতিবাদ মুখর। এমন মুহূর্তে ক্ষমতাসীনরা জোরপূর্বক ক্ষমতায় থাকতে বেসামাল হয়ে জনগণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলি করছে। পাখির মতো বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করছে।
রিজভী বলেন, ‘অঘোষিত দেউলিয়াত্বের মুখে পতিত সরকার ফুঁসে ওঠা জনরোষ থেকে বাঁচতে হিংস্র হয়ে উঠেছে সরকার।’
আজ শুক্রবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকার তার পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এই প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চালিয়ে আবারও প্রমাণ করল—বল প্রয়োগ করে, জবরদস্তি করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়।’
‘পুলিশের গুলিতে নিহত আব্দুর রহিম ও নুরে আলমের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না’ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণের অভ্যুত্থানে এই সরকারের পতন ঘটবে। তারপর জনগণের সরকার কড়ায়গণ্ডায় বিচার করবে। সকল হত্যাকাণ্ডেরই বিচার হবে।’
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গত এক যুগ ধরে র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, সিভিল প্রশাসন, আইন আদালত সবকিছু সম্পূর্ণ ছাত্রলীগের প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী ক্যাডারদের দিয়ে সাজিয়েছেন। বিরোধীদল দমন করতে ছাত্রলীগ নেতাদেরকে পুলিশের পোশাক পরিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘ভোলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গুলির নির্দেশদাতা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা। প্রমোশন এবং পুরস্কারের লিপ্সায় এসপি সাইফুল বিএনপির মিছিলে নারকীয় তাণ্ডবের নির্দেশ দেন বলে জানতে পেরেছি। মাঠে নির্দেশ কার্যকর করেছেন পুলিশের ভোলা সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত ইন্সপেক্টর আকরাম হোসেন এবং ওসি এনায়েত হোসেন। ইন্সপেক্টর আকরাম হোসেনকে সরাসরি গুলি করতে দেখা গেছে। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কালঘড়ায়। তার মৃত বাবা আব্দুল মতিন কিসলু ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা।’