জলবায়ু অভিযোজন কর্মকাণ্ডে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাইলেন পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ন্যাপ বাস্তবায়নে ২৩০ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে যার একটি বড় অংশ আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন থেকে সংগ্রহ করতে হবে। তিনি আশা করেন, যুক্তরাজ্য সরকার ন্যাপ-এর চিহ্নিত পদক্ষেপগুলো অর্জনে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ রোববার (১২ মার্চ) এডাপটেশন অ্যাকশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় গোলটেবিল বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা (২০২২-২০৪১) অনুমোদন করেছে এবং এর লক্ষ্য বাংলাদেশের গতিপথকে দুর্বলতা থেকে জলবায়ু সহিষ্ণুতার দিকে নিয়ে যাওয়া। মন্ত্রী আশা করেন, কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে জিসিএ বাংলাদেশ সরকারকে অভিযোজন কার্যক্রমে রাখতে সহায়তা করবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে সামাজিক, নৈতিক ও অর্থনৈতিক আবশ্যকতা রয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চাভিলাষী অভিযোজন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যান (২০২৩-২০৫০) বাংলাদেশে মাঝারি এবং দীর্ঘমেয়াদী অভিযোজন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের জন্য একটি রোডম্যাপ এবং ফ্রেমওয়ার্ক। এটি কার্যকর অভিযোজন কৌশলের মাধ্যমে একটি জলবায়ু-সহিষ্ণু জাতি গঠন করতে সহায়তা করছে। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ইকোসিস্টেম-ভিত্তিক অভিযোজন, উন্নত শাসন, বর্ধিত জলবায়ু অর্থায়ন এবং রূপান্তরকারী ক্ষমতা-নির্মাণ এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে জলবায়ু-সহনশীল কৃষি, অবকাঠামো এবং অন্যান্য আর্থ-সামাজিক খাতগুলোর বিকাশ করবে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন অফিস বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রেভেলিয়ান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার ড. রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন; জিসিএ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রফেসর ড. প্যাট্রিক ভারকুইজেন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের বাংলাদেশ ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর; ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন এর উপদেষ্টা প্রফেসর ডক্টর সেলিমুল হক এবং জিসিএ এর বিশিষ্ট ফেলো ও সিভিএফ বাংলাদেশ প্রেসিডেন্সির সাবেক বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক শাখার মহাপরিচালক ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী গোলটেবিল বৈঠকটি পরিচালনা করেন।