জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-আইজিপি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ জাতিসংঘের সদর দপ্তরে পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংস্থার সাধারণ পরিষদ হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আজ শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জাতিসংঘ পুলিশের অংশগ্রহণে টেকসই শান্তি ও উন্নয়ন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জাতিসংঘ পুলিশের গর্বিত সদস্য হিসেবে টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য যেকোনো উদ্যোগে অবদান রাখতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
নিরাপত্তা ও উন্নয়ন পরস্পর নির্ভরশীল এবং এটি পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী উল্লেখ করে সম্মলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুবিধার্থে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও সুসংহত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।’
সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর ভঙ্গুরতার মূল কারণ চিহ্নিত করে ওই সব দেশে মৌলিক সেবা প্রদান, অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সংস্কার বাস্তবায়নে দেশগুলোর সরকারি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘকে সহায়তা প্রদানের আহবান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ পুলিশ, জাতিসংঘের কান্ট্রি টিম ও সংস্থা এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে একটি সুসংহত ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপত্তা খাত সংস্কারে জাতিসংঘ পুলিশিংয়ের ভূমিকা এবং ম্যান্ডেট অনুযায়ী আইনের শাসন জোরদার ও বিশেষায়িত পুলিশ টিমের (এসপিটি) ওপর গুরুত্বারোপ করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় মাঠ পর্যায়ে আরও অধিক নারী পুলিশ মোতায়েন এবং সিনিয়র পদে নারী পুলিশ কর্মকর্তা বাড়ানোর প্রচষ্টোর প্রশংসা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে দক্ষ নারী পুলিশ কর্মকর্তা ও সুসজ্জিত পুলিশ ইউনিটগুলোতে অবদান রাখতে বাংলাদেশ পুলিশের প্রস্তুতির কথাও উল্লখে করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে পরিবেশগত ঝুঁকি কমাতে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং প্রাকৃতিক আঁশভিত্তিক পণ্য ব্যবহারের ওপর জোর দেন। আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘শান্তিরক্ষীগণ মোতায়েন রয়েছে এমন দেশগুলোতে এ পদক্ষেপ টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি ইতিবাচক ভূমিকা রেখে যাবে।’
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।