জাতীয় বেতনস্কেল, রেশন ও পেনশন চায় গ্রাম পুলিশ
জাতীয় বেতনস্কেলে অন্তর্ভুক্ত, রেশনিংয়ের ব্যবস্থা, চিকিৎসা ও অবসর ভাতাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়ন। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা জানান, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে ক্ষমতার বদল হয়েছে বহুবার। কিন্তু গ্রাম পুলিশদের দিকে কেউ ফিরে তাকায়নি। প্রায় ৪০ বছর একভাবেই তাদের জীবন চলেছে। গ্রাম পুলিশরা মর্যাদা নিয়ে মানুষের মতো বাঁচতে চায়।
গ্রাম পুলিশদের দাবি, বর্তমান সরকার ক্ষমতা আসার পর গত প্রায় দেড় দশক ধরে বলে আসছে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। এ সত্য মেনে নিয়ে বলতে হয়, গ্রাম পুলিশরা নিম্ন আয়ের মানুষেও উন্নীত হতে পারেনি। নিত্যপণ্যের বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন বেতন-ভাতা আমাদের জীবন বিষিয়ে তুলেছে।
সংগঠনের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘বর্তমান আকাশচুম্বী বাজারদরের সঙ্গে একজন দফাদার সাত হাজার টাকা এবং মহলদার সাড়ে ছয় হাজার টাকা দিয়ে পরিবার নিয়ে চলতে পারে না। এ ছাড়া, নির্ধারিত বেতনভাতার বাইরে রেশন, চিকিৎসাসহ অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। সরকারি অংশটুকু পেলেও ইউনিয়ন পরিষদের অংশ এবং যাতায়াত ভাতা অনেক ক্ষেত্রে আমরা পাচ্ছি না। সরকার যাতে আমাদের দিকে ফিরে তাকায় আমরা সেই দাবি জানাচ্ছি।’
সংগঠনের দাবিগুলো হলো- গ্রাম পুলিশদের জীবনমান উন্নয়নে বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন প্রদান ও জাতীয় বেতনস্কেলের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সরকারি অন্য বাহিনীর মতো রেশনিং ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রাম পুলিশদের ঝুঁকি ও চিকিৎসা ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রাম পুলিশদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। এককালীন অবসর ভাতা দফাদার আট লাখ টাকা, মহালদার সাত লাখ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দিতে হবে এবং অন্য বাহিনীর মতো একটি কেন্দ্রীয় অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী শাহজাহান কবীর জহির, শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতা নাইমুল আহসান জুয়েল প্রমুখ।