টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ : আদালতে আরও দুজনের জবানবন্দি
টাঙ্গাইলের আলোচিত ঈগল এক্সপ্রেসের চলন্ত বাসে ডাকাতি ও দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আরও দুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন করিম তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
এরা হলেন মূল পরিকল্পনাকারী রতন হোসেন (২১) ও আব্দুল মান্নান (২২)। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ১১ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, রতন হোসেন, আব্দুল মান্নান, খন্দকার মো. হাসমত আলী ওরফে দীপু এবং মো. জীবন ডিবি হেফাজতে ৩ দিনের রিমান্ডে ছিল। রিমান্ড শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতে তোলা হয়। এর মধ্যে রতন ও মান্নান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। রিমান্ড শেষ হওয়ায় অপর দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গতকাল বুধবার বাবু হোসেন (২১) এবং সোহাগ মণ্ডল (২০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এ ঘটনায় রোববার রাতে র্যাব ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে সোমবার রাতে র্যাব ডিবি পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করেন। এর আগে টাঙ্গাইলের জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশ এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। গত শনিবার রাতে ৩ জন ডাকাত সদস্য আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট রাতে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালুর ঢিবির কাছে বাসের গতি থামিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।