ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একাংশের আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন। সোহেল হায়দার চৌধুরী পেয়েছেন ৭২৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ আলম খান তপু পেয়েছেন ৬৯০ ভোট, অপর প্রার্থী কুদ্দুস আফ্রাদ পেয়েছেন ৪৭৯ ভোট।

অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন ৭৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেহেদী হাসান পেয়েছেন ৬৪২ ভোট, আর গাজী জহিরুল ইসলাম ৪৪৫ ও সোহেল সানী পেয়েছেন ৫৩ ভোট।

জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান মনজুরুল আহসান বুলবুল এ ঘোষণা দেন।

নির্বাচনে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ৬৭৩ ভোট পেয়ে এম এ কুদ্দুস নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খন্দকার মোজাম্মেল হক পেয়েছেন ৪১৩ ভোট। এ ছাড়া ৫৩৫ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি পদে মানিক লাল ঘোষ, ৬৫৫ ভোট পেয়ে যুগ্ম সম্পাদক পদে খায়রুল আলম, ৭২৯ ভোট পেয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে আশরাফুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

সহ-সভাপতি পদে ৫৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মানিক লাল ঘোষ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হেমায়েত হোসেন পেয়েছেন ৫১৭ ভোট।

যুগ্ম সম্পাদক পদে ৬৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন খায়রুল আলম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুজ্জামান পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।

অন্যদিকে, ডিইউজে নির্বাচনে আগামী দুই বছরের জন্য ৮৬৪ ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জিহাদুর রহমান জিহাদ, এক হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে এস এম সাইফ আলী, ৭৬৮ ভোট পেয়ে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজু হামিদ, ৭২০ ভোট পেয়ে দপ্তর সম্পাদক পদে আমানউল্লাহ আমান, ৮৮১ ভোট পেয়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শাকিলা পারভীন এবং ৭০৫ ভোট পেয়ে নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে সুরাইয়া অনু নির্বাচিত হয়েছেন।

এ ছাড়া নির্বাচনে আটটি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মুজিব মাসুদ (৬৭৫), দুলাল খান (৬৪৪), ইব্রাহিম খলিল খোকন (৬২৪), আসাদুর রহমান (৬০৭), সলিমউল্লাহ সেলিম (৬০৬), আনোয়ার হোসেন (৫৯২), মহিউদ্দিন পলাশ (৫৪৫) এবং রেহানা পারভীন (৪৮৩)।

এবার ডিইউজের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ২১টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৭১ জন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৯৬৮ জন। নির্বাচনে তিনটি ঘোষিত পরিষদ এবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এর মধ্যে কুদ্দুস আফ্রাদ-গাজী জহিরুল ইসলাম পরিষদ, সাজ্জাদ আলম খান তপু-আকতার হোসেন পরিষদ, সোহেল হায়দার চৌধুরী-মেহেদী হাসান পরিষদে মোট ৬১ জন প্রার্থী ভোটে লড়াই করেন। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। নির্বাচনে সভাপতি পদে তিনজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্রসহ প্রার্থী ছিলেন চার জন। এদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে সকাল ৯টা থেকে বিরতিহীনভাবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এবার ২০টি বুথ ও দুটি ব্যালটে ভোটগ্রহণ হয়। সন্ধ্যা ৬টার পর শুরু হয় ভোটগণনা।