ডি-৮ শীর্ষ নেতাদের বৈঠক আজ
বাংলাদেশ আজ বৃহস্পতিবার দশম ডেভেলপিং-৮ (ডি-৮) শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছে। সংগঠনটির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অধিকতর বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের লক্ষ্যে ভার্চুয়ালি সম্মেলনটির আয়োজন করা হচ্ছে।
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। এবং অপর সাতটি ডি-৮ সদস্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
এর আগে গত ৩১ মার্চ এক ভার্চুয়াল ব্রিফিং-এ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, ‘শীর্ষ সম্মেলনের পর, বাংলাদেশ দুই বছরের জন্য ডি-৮-এর সভাপতিত্ব করবে। এর ফলে বাংলাদেশ তার অসামান্য অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সাফল্যের কথা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পাবে।’
ড. এ কে আবদুল মোমেন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আগামী দুই বছরের জন্য ডি-৮ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিসের (সিসিআই) সভাপতিত্ব করবে, যা ঢাকাকে ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে অধিকতর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আনতে ঢাকাকে সহায়তা করবে।’
ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কো-অপারেশন, যা ‘ডেভেলপিং-৮’ নামেও পরিচিত। সংগঠনটি আটটি উন্নয়নশীল মুসলিম দেশ নিয়ে গঠিত। সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক। শীর্ষ সম্মেলনে ডি-৮-এর বর্তমান সভাপতি তুরস্ক আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশের কাছে সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবে।
এদিকে শীর্ষ সম্মেলনের আগে গতকাল বুধবার স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ভার্চুয়াল মাধ্যমে ডি-৮ কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স-এর ১৯তম সভা আয়োজন করে। সভায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসৌলু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ডি-৮ কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স-এর সভাপতির পদ হস্তান্তর করেন। সভায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন এবং ডি-৮-এর সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
গত ৩১ মার্চ এক ভার্চুয়াল ব্রিফিং-এ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছিলেন, ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন শেষে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পূর্ণ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে ডি-৮ প্লাটফরমকে অধিকতর কার্যকর করতে ‘ডি-৮ ডেসেনিয়েল রোডম্যাপ ২০২০-২০৩০’ ও ‘ঢাকা ডিক্লেয়ারেশন ২০২১’ গৃহীত হতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও বাণিজ্যের পাশাপাশি ব্যবসা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, পরিবহণ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ ও পর্যটন আন্ত-ডি-৮ সহযোগিতার এই ছয়টি ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত নীতিমালা তৈরি করবে।
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে ভার্চুয়ালি গত ৫-৬ এপ্রিল ডি-৮ কমিশনের ৪৩তম অধিবেশন এবং গতকাল ১৯তম ডি-৮ কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে গত ৫ এপ্রিল ডি-৮ বিজনেস ফোরাম ও প্রথম ডি-৮ ইয়ুথ সামিট ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।