ঢাকায় বিপুল বাড়ি : নুরুল ইসলামের তিনটি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা মহানগর ও দায়রা জজ আদালতের ফাইল ছবি

আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা করে ঢাকায় পাঁচটি বাড়িসহ বিপুল সম্পদের মালিক নুরুল ইসলামের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান এই আদেশ দেন। এ বিষয়ে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল (পিপি) এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আদালতে এ আবেদন করেন সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান।’ 

পিপি বলেন, ‘আদালতে তিনটি ব্যাংক হিসাব জব্দের আবেদন করা হয়েছে। শুনানি শেষে বিচারক দুটি বেসরকারি ব্যাংকের শ্যামলী শাখায় তার ও প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা তিনটি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন।’

আবেদন থেকে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ী নুরুল অবৈধ আয়কে বৈধ করতে কাগুজে প্রতিষ্ঠান খুলে টাকা লেনদেন করেছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে দুটি বেসরকারি ব্যাংকের শ্যামলী শাখায় তাঁর ও প্রতিষ্ঠানের নামে খোলা তিন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আবেদন করা হয়েছে।

২০০১ সালে টেকনাফ বন্দরে চুক্তিভিত্তিক দৈনিক মাত্র ১৩০ টাকা বেতনে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন নুরুল ইসলাম। ২০০৯ সালে চাকরি ছেড়ে দেন। এর পরের ১৪ বছরে ঢাকার মোহাম্মদপুর ও আদাবরে তাঁর পাঁচটি বাড়ি হয়েছে।

সামান্য বেতনে টেকনাফে চাকরি শুরু করার সময়ই জড়িয়ে পড়েন ইয়াবার কারবারে। মূলত ইয়াবা ব্যবসার টাকা বৈধ করতেই আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার কাগুজে প্রতিষ্ঠান খোলেন। নুরুল ও তাঁর স্ত্রীর নামে মোট ১১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ওই সব হিসাবে গত এক যুগে ১৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে, মাদক, জাল টাকাসহ ঢাকার আদাবর এলাকা থেকে ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে র‍্যাব তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অনুসন্ধানের জন্য সিআইডিকে চিঠি দেয়। দীর্ঘ ১৫ মাস অনুসন্ধান করে সিআইডি ঢাকার মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় তাঁর পাঁচটি বাড়িসহ ১৩ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে।