তেঁতুলিয়া বেড়াতে যাওয়া হলো না ফিরোজের
তেঁতুলিয়ায় বেড়াতে যাওয়া হলো না মো. ফিরোজ (৩০) ও সোহেল হোসেনের (২০)। পিকআপ কেড়ে নিল ফিরোজের প্রাণ। আর রংপুর মেডিকেল কলেজের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন গুরুতর আহত সোহেল।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত ফিরোজ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সোনাপুর তাঁতীপাড়া গ্রামের মো. ফেরদৌসের ছেলে। আহত সোহেল একই গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্যাস সিলিন্ডারবাহী একটি পিকআপ তেঁতুলিয়া থেকে পঞ্চগড়ের দিকে আসছিল। বিপরীত দিক থেকে ফিরোজ ও সোহেলের মোটরসাইকেল তেঁতুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল। পঞ্চগড় সদর উপজেলার দাড়িয়াপাড়া এলাকায় আসার পর চলন্ত পিকআপের একটি চাকা ব্লাস্ট হয়। এতে পিকআপটি নিয়ন্ত্রণ হারালে মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
পিকআপ-মোটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষে ফিরোজের কোমর থেকে দুই পা থেতলে যায় এবং পায়ের কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অন্যদকে সোহেল হোসেনের দুই পা থেতলে যায়।
খবর পেয়ে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত দুজনকে উদ্ধার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উম্মে হুমায়রা ফিরোজকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে সোহেলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় ও পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিঞা তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আব্দুল লতিফ জানান, পিকআপের চালক পালিয়ে গেলেও পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।