তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পাইনি : এনামুর রহমান
বাংলাদেশে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর আমরা এখনও পাইনি জানিয়েছেন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। আজ রোববার (১৪ মে) বিকেলে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলহামদুল্লিলাহ, মহান আল্লাহ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন।’
ডা. মো. এনামুর রহমান আরও বলেন, ‘আমি সবসময় একটা কথা বলি, যেদেশের সরকারপ্রধান, যেদেশের শাসনকর্তা পরেজগার, তাঁর ওপর আল্লাহর একটা বিশেষ রহমত থাকে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরহেজগারিত্ব এবং নেক আমলের জন্য বাংলাদেশ আজকে একটা বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে।’
বাংলাদেশের সেরকম কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর আমরা এখনও পায়নি জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, ‘মিয়ানমারের সিত্তওয়ের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র আমরা পেয়েছি। যেহেতু ঘূর্ণিঝড়ের আই (চোখ) বা সেন্টার সেখান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, সেজন্য সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। রাস্তায় ইলেকট্রিক পোস্ট পড়ে থাকতে দেখেছি। সে তুলনায় আমাদের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
সেন্টমার্টিনে এখনও ঝড় বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে আট হাজার স্থানীয় জনগণ রয়েছে। অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্র, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও লোকজন রয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি সকাল ৬টা থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন উপকূল হয়ে মিয়ানমারের সিত্তওয়ে উপকূল অতিক্রম করেছে এবং ইতোমধ্যে এর কেন্দ্রস্থলটিও অতিক্রম করে মিয়ানমারের দিকে চলে গেছে। এই ঝড়ের ফলে ফলে সেন্টমার্টিনের সর্বোচ্চ ১৪৭ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে এবং টেকনাফ, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম, এদিকে ৪০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। এরসঙ্গে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।’
এদিকে, আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত মোখা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তার সর্বশেষ বুলেটিনে (২২ নম্বর) বলা হয়, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং মোংলাকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি থেকে নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।