থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে সুন্দরবনে পর্যটকবাহী অর্ধশতাধিক ট্যুরিস্ট লঞ্চ
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থান করছে ছোট-বড় অর্ধশতাধিক ট্যুরিস্ট লঞ্চ। বছরের শেষ দিন ও নতুন বছরের প্রথমদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি পর্যটক বনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছেন।
আজ শনিবার সকাল থেকেই দেশ-বিদেশের ভ্রমণপিপাসুরা প্রবেশ করতে শুরু করেন বনের অভ্যন্তরে। বিভিন্ন পর্যটনস্পট ও বনের গভীরে নদীতে অবস্থান নিয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করেন তারা। আর রাতভর লঞ্চে বিভিন্ন ধরনের পার্টিসহ নতুন বছরের ভোরের সূর্যকে চোখের দৃষ্টিতে উপভোগের পাশাপাশি ক্যামেরার ফ্রেমবন্দির প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন নানা বয়সের পর্যটকেরা।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল আজম ডেভিট শনিবার রাত ৮টার দিকে বলেন, ‘থার্টি-ফাস্ট নাইট উদযাপনে মোংলা ও খুলনা থেকে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫০টিরও অধিক লঞ্চে আড়াই হাজারের বেশি পর্যটক শনিবার দিনভর পর্যায়ক্রমে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছেন। তারা বনের বিভিন্ন পর্যটন স্পটসহ নদী ও খালে অবস্থান নিয়ে উৎসবে মেতেছেন। তাদের মধ্যে বিদেশিরাও আছে।’
তবে দূরত্বের দিক দিয়ে মোংলা-খুলনার সবচেয়ে কাছাকাছির আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট করমজলে বছরের শেষ দিনে আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া মেলেনি। করমজল পর্যটনকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, ‘শুক্রবার এখানে দেড় হাজারের বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছিল। আশা ছিল, শনিবার আরও বেশি লোক হবে। কিন্তু শুক্রবারের তুলনায় অর্ধেক লোক আসে শনিবার, এমনটা অবশ্য আশা ছিল না।’
এদিকে, পর্যকটকের আগমনে সিট খালি নেই পর্যটন করপোরেশনের হোটেল পশুরে। পৌর শহরের অন্যান্য হোটেলেও লোকজনে ভরপুর। হোটেল আমিন ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার মো. ইদ্রিস হোসেন বলেন, ‘আমাদের হোটেলসহ অন্যান্য হোটেলগুলোতে পর্যটকে ভরপুর। বছরের শেষ দিনের সারা দিন বন ঘুরে যারা দূরের গন্তব্যে ফিরতে পারেননি, আবার যারা নতুন বছরের প্রথম দিনে বনভ্রমণ করবেন, তারাই অবস্থান করছেন হোটেল-মোটেলগুলোতে।’