দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হলো রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স
করোনাভাইরাসের কারণে সাড়ে চার মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর সোমবার সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হয়েছে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকের জন্য অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় গন্তব্য হলো রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স।
রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর পরামর্শের ভিত্তিতে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
‘ইতোমধ্যে কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় পর্যটন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। তাই আপাতত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কমপ্লেক্সটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে’, বলেন ব্যবস্থাপক।
সৃজন বিকাশ বড়ুয়া আরো জানান, বছরের পর্যটকমুখর থাকার সময়টিতেই করোনা মহামারির কারণে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় গত চার মাসে প্রায় এক কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের।
পর্যটন কমপ্লেক্সটি খুলে দিলেও সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটন কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও জানান রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রের এ ব্যবস্থাপক।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ জানান, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সটি খুলে দেওয়ার ব্যাপারে পর্যটনের ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালাতে পারলে তাদের পর্যটন কমপ্লেক্সটি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
‘তবে কেউ যেন মাস্ক ছাড়া সেখানে না যায় এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে, সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে,’ যোগ করেন জেলা প্রশাসক।
রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা ট্যুরিস্টদের প্রধান গন্তব্যস্থল পর্যটন কমপ্লেক্সটি শহরের একেবারেই শেষ প্রান্তে অবস্থিত। দেশের প্রধান সরকারি পর্যটন সংস্থা বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এটি পরিচালনা করে।
‘সিম্বল অব রাঙামাটি খ্যাত’ ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই হ্রদে নৌ-ভ্রমণের জন্য অসংখ্য বোট ছাড়াও এখানে রয়েছে একাধিক মোটেল ও কটেজ।