দানবীয় শক্তিকে রাজপথে টেনে নামানো হবে : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বিনাভোটে যারা ক্ষমতায় থাকে তারা দানবীয় শক্তি। যারা মানুষের ভালোবাসা নিয়ে টিকে থাকে তারাই হচ্ছে আলোক ও দিব্য শক্তি। বিএনপি ও ছাত্রদল হচ্ছে আলোক শক্তি। সুতরাং দানবীয় শক্তি টিকে থাকতে পারবে না। তাদের গলায় গামছা দিয়ে রাজপথে টেনে নামাতে বাধ্য করা হবে ইনশা আল্লাহ।’
আজ বুধবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তারেক রহমান পরিশ্রমী রাজনীতিবিদ। তিনি আগামী দিনের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। যিনি বাংলাদেশের অসহায় দরিদ্র মানুষের মধ্যে স্বাবলম্বী করার নানাবিধ কাজ করেছেন। আসলে তাঁর রাজনীতি শুরুই হয়েছে মানবকল্যাণের মধ্য দিয়ে। যা কুচক্রী মহল ভালোভাবে নেয়নি। তারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ টাটকা ডাহা মিথ্যা কথা বলে। কারণ জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আলো ও ন্যায়ের পথে। যারা প্রকৃত সাহসী তারাই মানবতার পক্ষে। ছাত্রদলের রক্তদান কর্মসূচি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। যারা ক্যাসিনো আর জুয়ার পক্ষে তারা তো আলোর পথে নেই।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করছি। হামলা গুলি মামলা উপেক্ষা করে রাজপথে পেশাজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা নেমে পড়েছে। গতকাল আপনারা রাজপথে তার দেখেছেন। আজকে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবারের সন্তান জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গ্রেপ্তার করেছে রাতের অন্ধকারে।’
সাবেক এ ছাত্রনেতা বলেন, ‘দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে তো গণতন্ত্র। দেশে গণতন্ত্র থাকলে রাজপথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হবে এটা সাংবিধানিক অধিকার। আর আপনি সেসময় মুক্তিযোদ্ধা উলফাতকে গ্রেপ্তার করেন।’
সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘আজকে পুশইন করে ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে ঢোকানো হচ্ছে। কই সেখানে তো একটা কথাও বলেন না। আর বিএনপির নেতা কোনো কথা বললে তার বিরুদ্ধে মামলা আর হামলা।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘তারেক রহমান বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। তিনিই প্রথম ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করেছেন। আজকে আমাদের সম্পদ চুরি করে আওয়ামী লীগ তাদের বলে প্রচার করছে। বিএনপির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ মেনে নিয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগের মূলনীতি বাঙালি জাতীয়তাবাদ। সুতরাং তারা বিএনপির বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে মন্ত্রী বানালে পেঁয়াজের দাম কমে না। ব্যাংক ব্যবসায়ীকে অর্থমন্ত্রী বানালে অর্থনীতি ধ্বংস হবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব ইনশা আল্লাহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা