দিনাজপুরের ১০ গ্রামে আজ ঈদ
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরের বিরামপুরে দুটি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর গ্রামের একটি মাঠে এবং আয়ড়া মাদরাসার মাঠে পৃথক দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
খয়ের বাড়ি জামে মসজিদে মো. দেলোয়ার হোসেন কাজী এবং আয়ড়া মাদরাসা মাঠের আল-আমিন ঈদ জামাতের ইমামতি করেন।
ইমাম দেলোয়ার হোসেন কাজী বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করছি।’
সরেজমিনে উপজেলার আয়ড়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সময় হওয়ার আগেই দূর-দূরান্তের গ্রামগুলো থেকে কেউ ভ্যানে, আবার কেউ সাইকেল বা মোটরসাইকেলে দিয়ে এসে জড়ো হন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিরামপুর থানা পুলিশ।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের কারণ জানতে চাইলে খয়ের বাড়ি জামাতের ইমাম মো. দোলোয়ার হোসেন কাজী বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। এই তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই এই নামাজ আদায় করা।’
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, বিরামপুর উপজেলায় জোতবানি ও বিনাইল দুটি ইউনিয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’