দুদকের মামলা পুনঃতদন্ত চেয়ে ড. খন্দকার মোশাররফের আবেদন খারিজ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার পুনঃতদন্ত চেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে, তার দুর্নীতি মামলায় পুনরায় সাক্ষী ডাকার সুযোগ নেই এবং মামলাও চলবে। এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে তার আবেদন খারিজ করে দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ। যেটি আজ খারিজ হয়ে যায়।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, মামলার অভিযোগপত্র যথাযথ হয়নি। যেসব সম্পত্তি নিয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে তা নিজের নামে নেই-উত্থাপন করে মামলাটির পুনঃতদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ চেয়ে আবেদন করেছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ।
২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি রমনা থানায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তার তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
দুদকের দায়ের করা এ মামলায় ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে তার বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৯ টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ১৪ আগস্ট মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এই মামলায় মোট সাক্ষী ৮ জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আট লাখ চার হাজার ১৪২ পাউন্ড যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফসোর প্রাইভেট ব্যাংকে তার ও স্ত্রী বিলকিস আক্তারের যৌথ অ্যাকাউন্টে (হিসাব নম্বর- ১০৮৪৯২) জমা করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ নয় কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা।
নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশি কোনো নাগরিককে বিদেশের কোনো ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু তিনি তা না করে বাংলাদেশে উপার্জিত এ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। যা অর্থপাচার আইনে অপরাধ।