দুবছর পর দেশের রপ্তানি আয় হবে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দুই বছর পর বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হবে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর আমরা ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও প্রায় ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের রপ্তানি দিনদিন বাড়ছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত মাসব্যাপী ‘২৯তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২’-এর উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরিপোশাক। বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার কারণে আমাদের আরও পাঁচ থেকে ছয়টি পণ্য বছরে এক বিলিয়েনের বেশি রপ্তানি করবে।’
‘দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিকরণে ব্যবসায়ীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। সরকার সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে’, যোগ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে একের পর এক শিল্পকলকারখানা গড়ে উঠছে। পণ্য উৎপাদন বাড়ছে। বাংলাদেশ ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ নির্ধারিত আগামী ২০৩০ সালের এক বছর আগেই বাংলাদেশ সফলভাবে এসডিজি অর্জন করবে এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।’
এ ছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। এ দেশের উন্নয়নে আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটি শক্ত অর্থনীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ব্যবসায়ীদের ভূমিকা অনেক বেশি। বাংলাদেশ আজ পাকিস্তান থেকে সব সূচকে এগিয়ে আছে। এমনকি ভারতের চেয়ে প্রায় সাতটি সূচকে এগিয়ে আছে। আমাদের সামনে উজ্জল সম্ভাবনা। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সরকারও চট্রগ্রামকে অধিক গুরুত্ব দেয়।’
‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য এরই মধ্যে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে, এখনও কাজ চলছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা হয়েছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ ও পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। এখন ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব বেড়ে গেছে।’
২৯তম চট্রগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২ মাসব্যাপী চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা টিকেটে মেলায় প্রবেশের সুযোগ থাকবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মো. মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য এবং চট্রগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রেসিডেন্ট এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভির, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক এবং সিআইটিএফ কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম আকতার হোসেন এবং চেম্বারের সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভির।