দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করছে সেনাবাহিনী : সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের সমর্থন নিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌম রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
আজ শনিবার কক্সবাজারের রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকা পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের উখিয়া ইনানী এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ ও সেনাবাহিনী পরিচালিত চিকিৎসাক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন।
এস এম শফিউদ্দিন বলেন, ‘শীতকালীন প্রশিক্ষণের সময় সেনাবাহিনী জনকল্যাণমূলক কাজের অংশ হিসেবে অসহায়, দুঃস্থ ও শীতার্ত মানুষের পাশে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কক্সবাজার অঞ্চলের অসহায়, দুঃস্থ ও গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
প্রশিক্ষণ পরিদর্শনকালে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি স্বরূপ বিভিন্ন রণকৌশল কার্যাবলী পর্যবেক্ষণ করেন এস এম শফিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার পাশাপাশি দেশ গঠনমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করে সুখ্যাতি ও প্রভূত সুনাম অর্জন করেছে সেনাবাহিনী।’
সৈনিকদের মনোবল উন্নত রেখে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন সেনাপ্রধান।
এ সময় জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান উপস্থিত ছিলেন।
উখিয়া উপজেলার ইনানীতে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় সহস্রাধিক অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। পরে তিনি সেনাবাহিনী পরিচালিত চিকিৎসা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
শীতবস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকায় অসহায়, দুঃস্থ ও গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্পেইন কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসা, গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা সেবা ও বিশেষ পরামর্শ প্রদান করছে এবং অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে চোখের ছানি, চালসে ও দীর্ঘ দৃষ্টি ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং বিনামূল্যে ঔষধপত্র বিতরণ করা হয়। দিনব্যাপী এই মেডিকেল ক্যাম্পেইনে দুই হাজারেরও বেশি রোগীকে চিকিৎসা প্রদান ও ঔষধপত্র বিতরণ করা হয়।