রমজানে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার চরম ব্যর্থ মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ‘দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। অসাধু কালোবাজারি ও মুনাফাখোড় সিন্ডিকেটের কাছে সরকার জিম্মি হয়ে পড়েছে। সরকার রমজানের পবিত্রতা বিনষ্ট করছে।’ 

আজ শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। সরকারবিরোধী সমমনা দলগুলোর যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর লেবার পার্টি এ কর্মসূচি আয়োজন করে।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. ইরান বলেন, ‘সরকার দলীয় লুটেরা সিন্ডিকেট চক্র দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণ চোখে সরষে ফুল দেখছে। চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থা শোচনীয়। সরকার দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারে সফল হলেও দেশের জনগণের দুর্ভোগ, দুর্দশা নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’

‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকারের কাছে জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত’ মন্তব্য করে ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘সরকার ১০ টাকায় চাল, বিনামূল্যে সার এবং ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ক্ষমতা দখল করে সব ওয়াদা বেমালুম ভুলে গেছে। জনদুর্ভোগ সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তকে পঙ্গু করে দিয়েছে। সরকারের এমপি-মন্ত্রী, আমলা ও দলীয় নেতাকর্মীরা দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জনগণ আওয়ামী দুঃশাসন ও লুটপাট থেকে বাঁচতে চায়।’

নওগাঁয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নারীর মৃত্যুর নিন্দা জানিয়ে ডা. ইরান বলেন, ‘রক্ষক আজ ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে। গ্রেপ্তারের ৩০ ঘণ্টা পরে ডিজিটাল আইনে মামলা হাস্যকর। সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে মানুষের কণ্ঠরোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গলার কাঁটা। তাই অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। নির্বিচারে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার সব রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।’

ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের পরিচালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, রামকৃষ্ণ সাহা, মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক রাছেল সিকদার লিটন, কেন্দ্রীয় সদস্য রুম্মান সিকদার, ইমরান হোসেন, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, সহসভাপতি নাজমুল ইসলাম মামুন প্রমুখ।