ধলেশ্বরীতে ট্রলারডুবি : চারদিন পর ৪ মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল। আজ রোববার সকালে বিচ্ছিন্নভাবে ভাসমান অবস্থায় মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। বাকি ছয় জনের সন্ধানে চলছে উদ্ধার তৎপরতা।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম জানান, আজ সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল ধলেশ্বরী নদীতে পঞ্চম দিনের মতো উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। তারা বিভিন্ন স্থানে দুজন নারী ও দুজন পুরুষের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে।
এর আগে গতকাল শনিবার পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তিদের কেউ উদ্ধার না হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন স্বজনরা। নিখোঁজ স্বজনদের ফিরে পেতে গতকাল দুপুরে নদীর পাড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করেন তাঁরা। সংবাদ পেয়ে নদীর পাড়ে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১০ জন নিখোঁজ হয়। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিসসহ আরও চারটি সংস্থা।
এদিকে, এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার মো. কামরুল হাসান, চালক মো. জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া ও সুকানি মো. জসিম মোল্লাকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য। এরই মধ্যে লঞ্চটি জব্দ করা হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ পরির্দশক তরিকুল ইসলাম জানান, মামলায় কুয়াশার মধ্যে আইন না মেনে বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালিয়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তার তিন জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডের শুনানি আজ রোববার হওয়ার কথা রয়েছে।