নওগাঁয় চাহিদার বেশি কোরবানির পশু পালন
নওগাঁ জেলায় এ বছর প্রায় তিন লাখ চাহিদার বিপরীতে তিন লাখ ৮০ হাজার ৪৯১টি কোরবানির পশু পালন করা হয়েছে। সেই হিসাবে নওগাঁ জেলা কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এখান থেকে কোরবানির পশু বরাবরই ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ দেশের অন্য জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
নওগাঁর জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হেলাল হোসেন জানান, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলার ১১টি উপজেলায় মোট ৩১ হাজার ৩৪০টি খামারে ৯৮ হাজার ৮৮৩টি ষাঁড়, ৩২ হাজার ৪২৯টি বলদ, ৩৬ হাজার ১১৫টি গাভি, ছয় হাজার ৯৬০টি মহিষ মোটাতাজা করা হয়েছে। এ ছাড়া ছাগল রয়েছে এক লাখ ৭৪ হাজার ৪৩৭টি, ভেড়া রয়েছে ২৫ হাজার ৬৫১টি এবং অন্য পশু রয়েছে ৪২৪টি।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলাভিত্তিক খামারে ষাঁড়, বলদ ও গাভির সংখ্যা হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় তিন হাজার ৬৩০টি। এসব খামারে ১৩ হাজার ৩৮২টি ষাঁড়, দুই হাজার ৫৯১টি বলদ এবং দুই হাজার ৫৭৭টি গাভি রয়েছে। রানীনগরে এক হাজার ৮৫০টি খামারে রয়েছে সাত হাজার ১১১টি ষাঁড়, ৮১৪টি বলদ ও তিন হাজার ১৬৯টি গাভি। আত্রাইয়ে এক হাজার ২৪৬টি খামারে পাঁচ হাজার ৭৮২টি ষাঁড়, ৮১৬টি বলদ ও ৯৭৪টি গাভি পালন করা হয়েছে। বদলগাছিতে তিন হাজার ৯১৮টি খামারে ছয় হাজার ২৬৮টি ষাঁড়, এক হাজার ৬০০ বলদ ও তিন হাজার ৬৮৩টি গাভি পালন করা হয়। মহাদেবপুরে এক হাজার ২৪০টি খামারে আট হাজার ২২৯টি ষাঁড়, এক হাজার ৪১৬টি বলদ ও দুই হাজার আটটি গাভি আছে। পত্মীতলায় এক হাজার ৮০৫টি খামারে সাত হাজার ১৩৩টি ষাঁড়, এক হাজার ৮৩৫টি বলদ ও দুই হাজার ২৫৮টি গাভি পালন করা হয়েছে। ধামইরহাটে দুই হাজার ৪৭৮টি খামারে ১১ হাজার ৯৫৩টি ষাঁড়, সাত হাজার ১৮৭টি বলদ ও ছয় হাজার ৫১৬টি গাভি রয়েছে। সাপাহারে তিন হাজার ৭৯২টি খামারে সাত হাজার ১৭টি ষাঁড়, তিন হাজার ৩২৬টি বলদ ও দুই হাজার ৪৩৮টি গাভি পালন করা হয়েছে। পোরশায় দুই হাজার ৫৯টি খামারে ছয় হাজার ৮৬৬টি ষাঁড়, তিন হাজার ৯টি বলদ ও দুই হাজার ৭২৭টি গাভি পালন করা হয়েছে। নিয়ামতপুরে এক হাজার ৫৩৭টি খামারে ছয় হাজার ৪৪টি ষাঁড়, এক হাজার ৯০৫টি বলদ ও এক হাজার ৫৭৫টি গাভি এবং মান্দা উপজেলায় সাত হাজার ৭৮৫টি খামারে ১৮ হাজার ৭৯৮টি ষাঁড়, ছয় হাজার ৮৪০টি বলদ ও আট হাজার ৯৬টি গাভি পালন করা হয়েছে।
জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও জানান, দেশে লকডাউন চললেও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে পশু ক্রয়-বিক্রয় নামে অনলাইনভিত্তিক একটি মোবাইল মার্কেটিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই অ্যাপে জেলার বিভিন্ন খামারির ঠিকানা, গরুর ছবি, গরুর আনুমানিক ওজন, মূল্য ইত্যাদি উল্লেখ করে পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। এতে মোটামুটি ভালোই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে।