নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় ট্রাস্টিকে বিদেশে যেতে নিষেধাজ্ঞা

Looks like you've blocked notifications!

অর্থপাচার মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় ট্রাস্টিকে বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন। 

দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ও ডেভেলপারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।

কোর্ট পরিদর্শক বলেন, এর আগে গতকাল সোমবার ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ চার ট্রাস্টিকে একদিন করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। তাঁলা হলেন- রেহানা রহমান, এম এ কাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান ও বেনজীর আহমেদ।

এর আগে গত রোববার হাইকোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদেরকে নিম্ন আদালতে হাজির করতে শাহবাগ থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থাৎ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলো বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিকেলস (রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস) অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি দাতব্য, কল্যাণমুখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সুপারিশ বা অনুমোদনকে পাশ কাটিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কিছু সদস্যের অনুমোদন বা সম্মতির মাধ্যমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ডেভেলপমেন্টের নামে নয় হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ অপরাধজনকভাবে প্রদান বা গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন আসামিরা।

পরে নিজেদের লোকজনের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন তাঁরা। এরপর সেই এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।