নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর ফলে জনদুর্ভোগ হ্রাস পেয়েছে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পানির অপর নাম জীবন হলেও মানুষ এক সময় পানির জন্য হাহাকার করত। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
আজ রোববার (১৯ মার্চ) ঢাকা ওয়াসার পার্টনার ড্রিংকওয়েল এটিএম প্রোগ্রামের যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করপোরেট এক্সিলেন্স পুরস্কার-২০২২ প্রাপ্তি ও হস্তান্তর উপলক্ষে ওয়াসা ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার সুযোগ না পেলেও তাঁর সুযোগ্য কন্যা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে ছোট একটি দেশ হওয়ার পরও বাংলাদেশ আজ তার বিশাল জনসংখ্যার সবার ক্ষুদার চাহিদা মেটাতে পারছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন করেন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল বা কর্নফুলী টানেল এক সময় অকল্পনীয় ছিল, কিন্তু তা এখন বাস্তব।’
তথ্য ও প্রযুক্তিখাতে সরকারের সাফল্য তুলে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন গ্রাম ও পাহাড়ের মানুষও বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আসার ফলে সবক্ষেত্রেই ব্যাপক উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে।’