নারায়ণগঞ্জে আরেকটি বাড়িতে অভিযান, ‘বোমা তৈরির সরঞ্জাম’ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কাজীপাড়া এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ওই বাড়িতে তিন ঘণ্টার অভিযান চালানো হয়। আজ সোমবার ভোররাতে অভিযান শেষ হয়।
এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে নাঈম ওরফে মেজর ওসামা নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার নাঈম নব্য জামা’আতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য এবং স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম। নাঈমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কাজীপাড়ায় তাঁর বাসস্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সিটিটিসি ইউনিটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এ অভিযানের সময় বোমা বিস্ফোরণের চারটি রিমোট কন্ট্রোলসহ বেশ কিছু বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও কিছু সংখ্যক জঙ্গিবিষয়ক বই উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযান শেষে সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া নাঈম জানিয়েছেন, তিনি নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য এবং বোমা তৈরির দক্ষ কারিগর ও প্রশিক্ষক। তাঁকে রোববার বিকেলে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কাজীপাড়ায় তাঁর বাসস্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেই বাসায় তিনি সপরিবারে থাকতেন।
এর আগে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় আরেকটি বাড়ি ঘিরে রাখে সিটিটিসি ইউনিটের সদস্যরা। রোববার সন্ধ্যা থেকে উপজেলার পাঁচগাঁও এলাকার ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। এ সময় জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত সন্দেহে এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মিয়া বাড়ি জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করা হয়।
রাতে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জায়েদুল আলম এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যেরা পৌঁছেছেন।
পুলিশ দাবি করেছে, আব্দুল্লাহ আল মামুন নব্য জেএমবি সদস্য। তাঁর সাংগঠনিক নাম ‘ডেভিড কিলার’ বা ‘আব্দুল ওয়াকিল আল খলিফা’।
আব্দুল্লাহ আল মামুন মসজিদের পাশে ছোট ঘরের আস্তানায় বোমা বানাতেন বলেও দাবি করেছে পুলিশ। এ সময় ভেতরে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট কাজ করে। ওই সময় ভেতরে কোনো জঙ্গি ছিল না। তবে বোমা রয়েছে বলে ধারণা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।