নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৮ নেতাকর্মী কারাগারে
মানিকগঞ্জে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২৮ নেতাকর্মীকে কারগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেতাকর্মীরা জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীদের মধ্যে ২৬ জনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব সুমন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরশাদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শিপু হায়দার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তপু, শিবালয় উপজেলা বিএনপিনেতা আমির হোসেন, আব্বাস আলী, নাজমুল ইসলাম ওরফে রাজু, নাজমুল ইসলাম, এস এম আব্বাস, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. হোসেন আলী, সদস্য সচিব সোহেল রানা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম; সাটুরিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, জুয়েল তালুকদার, দরগ্রাম ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, যুবদলকর্মী ফয়েজ হোসেন, আবদুর রউফ, আবদুর রহমান ও আবদুল মজিদ; সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো. অয়ন, ছাত্রদলকর্মী মো. অনিক ও সাদিত হোসেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের আগে মানিকগঞ্জে সাতটি থানায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে নয়টি মামলা করা হয়। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা করে। এসব মামলা ১৪৪ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়। এসব মামলায় ওই ২৬ নেতাকর্মী উচ্চ আদালতে ছয় সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন নেন। আজ দুপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা বলেন, ১০ ডিসেম্বরের আগে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘গায়েবি’ মামলা দেওয়া হয়। এই মিথ্যা মামলায় জামিন চেয়ে দলের ২৮ নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।