নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৫ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড
রাাজধানীর কলাবাগান ও বংশাল থানার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির ৬৫ নেতাকর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী ও আলী হায়দারের পৃথক দুই আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
কলাবাগান থানার মামলায় রায় দেওয়া ৪০ জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন-সিরাজুল ইসলাম, শাহ আলম সৈকত, জাকির হোসেন, মো. নোমান, পলাশ হাওলাদার, জাহাঙ্গীর হোসেন, মাহমুদুল হাসান রুম্মান, ফয়সাল, শহিদুল, মো. রাসেল আব্দুল লতিফ, রুবেল প্রমুখ। এ মামলাটি ২০১৩ সালে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা হয়। এছাড়া বিচারক একই মামলায় ২৬ জনকে বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর কলাবাগানের বীর উত্তম সি আর দত্ত লেনের বিগ বাইট নামক দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপরে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রসহ বেআইনি সমাবেশ করে রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় রাজধানীর কলাবাগান থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরে ২০১৪ সালে ৬৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
অপরদিকে, রাজধানীর বংশাল থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ওই মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী এ রায় ঘোষণা করেন। বিচারক রায়ে এক ধারায় আসামিদের আড়াই বছরের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করেন এবং সে টাকা অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বিচারক অপর আরেক ধারায় ছয় মাস করে কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছে- সোহেল, রাজু, হাজী সিরাজ, মামুন, রনি, মঈন, হাজী মো. মাছুম, গলাকাটা আজিম, ওমর ফারুক, রাজিয়া আলম ওরফে রাজিয়া সুলতানা।
নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আসামিরা বংশাল থানাধীন ১০৩ নং এনসিসি রোডের সামনে মিছিল বের করে। তারা গাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাহার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। পরে ২০১৯ সালের ৩০ জুন ঢাকার সিএমএম আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।