নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ মামলা, আসামি ১৪২৪
রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। তিন মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে এক হাজার ৪২৪ জনকে। হত্যা, হত্যাচেষ্টা, জখম, ককটেল বিস্ফোরণ, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের অভিযোগে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে এ মামলা তিনটি মামলা করা হয়। এ তথ্য আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন নিউ মার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান।
তবে, এ প্রতিবেদন লেখার সময় আজ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। কিন্তু, গ্রেপ্তার না করলেও অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল ঘটনা, হামলার উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট। বেশ কয়েকটি সূত্র এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নিউ মার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক ইয়ামিন কবীর সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশের ওপর আক্রমণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে জখম ও ভাঙচুরের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় ২৪ জন এজাহারনামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ ব্যবসায়ী-কর্মচারী এবং ঢাকা কলেজের ৬০০ থেকে ৭০০ শিক্ষার্থীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
নিউ মার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদি হাসান বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, সরকারি সম্পদসহ জানমালের ক্ষয়-ক্ষতির লক্ষ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো এবং এ কাজে সহায়তার করার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।
নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হন কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী নাহিদ। মো. সাইদ নামের নাহিদের এক স্বজন একটি মামলা করেছেন। পরস্পরের যোগসাজসে খুন করার অভিযোগ এনে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে এ মামলায়।
গত সোমবার রাত ১২টায় শুরু হয় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ। আড়াই ঘণ্টা সংঘর্ষের পর দিন মঙ্গলবার দিনভর নিউ মার্কেট এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। জানা গেছে, নিজেদের মধ্যে কোন্দলের জেরে এ ঘটনার সূত্রপাত করে সেখানকার দুই খাবারের দোকানের লোকজন। পরবর্তীকালে সেখানে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের জড়ানো হয়। যদিও এ সংঘর্ষের কারণ হিসেবে অন্য আরেকটি তথ্য জানা গেছে। বলা হচ্ছে, খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীদের টাকা দিতে না চাওয়া নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত।
সংঘর্ষ শুরুর পর দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে নিউ মার্কেটসহ আশপাশের সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। গতকাল বুধবারও বন্ধ ছিল মার্কেট। গতকালও দুপক্ষ ছিল মুখোমুখি অবস্থানে। ঢাকা কলেজ এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। তবে, সংঘর্ষে জড়ায়নি কোনো পক্ষই। অবশেষে আজ সকাল বৃহস্পতিবার ১০টা থেকে নিউ মার্কেটসহ আশপাশের মার্কেটগুলো খুলতে শুরু করেছে।